অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীন সফররত একটি সিনিয়র মার্কিন প্রতিনিধি দল সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় এবং তাইওয়ানের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বেইজিং সোমবার বলেছে, দুই পক্ষ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সফরের ভিত্তি নিয়ে কাজ করছে।
চীনা ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি ফেং-এর সাথে রোববার ও সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশে পূর্ব এশিয়ার জন্য শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক, চীন ও তাইওয়ানের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লরা রোজেনবার্গার-এর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেইজিং এ কথা জানায়।
চীনের নেতা শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এক শীর্ষ বৈঠকে ভঙ্গুর সম্পর্ক মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে এই সফর শুরু হয়।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার বলেছেন, “হেবেইতে উভয় পক্ষ ‘দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বালি শীর্ষ সম্মেলনে উপনীত ঐকমত্য বাস্তবায়নের বিষয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছে।”
ওয়াং বলেন, “বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যুও আলোচিত হয়েছে, স্ব-শাসিত এই গণতান্ত্রিক দ্বীপটিকে চীন তার এলাকা হিসেবে দাবি করে আসছে এবং এটি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের উৎস।”
ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “জি ফেং, ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক এবং লরা রোজেনবার্গার ‘সর্বস্তরে বিনিময় জোরদার’ এবং ‘যোগাযোগ বজায় রাখতে’ সম্মত হয়েছেন।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে, ওয়াশিংটন এই দেশটির ওপর এবং একই সাথে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের ব্যাপারে বেইজিংয়ের কাছ থেকে আরও চাপ আশা করছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনাগুলো ছিল খোলাখুলি এবং সেগুলো ছিল মৌলিক।’
প্রাইস বলেন, ‘তারা সহযোগিতার সম্ভাব্য উপায়গুলোও অন্বেষণ করেছে যেখানে আমাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে।’
Leave a Reply